আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে,বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্তে প্রায় ২০০ মিটার সুড়ঙ্গের সন্ধান করেছে ভারতীয় পুলিশ। অপহৃত এক ব্যক্তিকে উদ্ধারে নেমে আসামের করিমগঞ্জ জেলার এলাকায় ১লা জানুয়ারি শুক্রবার এই সুড়ঙ্গের খোঁজ পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছেন তারা।
আনন্দবাজারে বলা হয়েছে, পাচার অপহরণসহ আন্তুর্জাতিক চোরাচালানে সুড়ঙ্গটি ব্যবহার করা হতো বলে তথ্য পেয়েছে করিমগঞ্জ জেলা পুলিশ।
২৭ই ডিসেম্বররবিবার করিমগঞ্জ নিলামবাজার থানার শিমুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা দিলওয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তি অপহরণের শিকার হন। পরে তার পরিবারের কাছে বাংলাদেশি নম্বর থেকে ফোন করে ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা।দিলওয়ার এর পরিবার টাকা না দিতে রাজি হলে অপহরণকারীরা কিছু নির্দেশনা দেয় এবং পার্শ্ববর্তী নয়াগ্রামের এলিমুদ্দিনের কাছে টাকা দিতে বলে। পুলিশ এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করলে ছেড়ে দেয় তারা।
যথারীতি বাড়িতে ফেরার পর দিলওয়ারকে জিজ্ঞাসা করে পুলিশ। তখন দিলওয়ার সুড়ঙ্গের কথা জানান। এরপর শুক্রবার করিমগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে বিশেষ টিম পাঠিয়ে এলাকায় অভিযান চালানো হয়। সেখানে ২০০ মিটারেরো বেশি দীর্ঘ সুড়ঙ্গের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ।
করিমগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার ময়ঙ্ক কুমার ঝাঁ আনন্দবাজার পত্রিকা কে জানান, সুড়ঙ্গের স্থান জঙ্গলঘেরা। উপরে কাঁটাতারের বেড়া। এর নিচে দিয়ে সুরঙ্গ। সুড়ঙ্গের মুখ দেখে মনে হবে সাধারণ গর্ত। দিলওয়ার জানিয়েছে বাংলাদেশের সিলেট প্রান্তেও সুড়ঙ্গের মুখে এমন সাধারণ গর্তের মত চেহারা। ওই পথের দুষ্কৃতীরা নিয়মিত চলাচল করে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানি নারীদের বিয়ে করছে চীনারা কেন?
পুলিশ সুপার আরও জানিয়েছেন, তাৎক্ষণিক BSF কে বলা হয়েছে ভারতের দিকের সুড়ঙ্গের মুখ বন্ধ করতে মুখ বন্ধ করতে। বিষয়টি নিয়ে বিএসএফ-এর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে। এর মধ্যে এই ঘটনার বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করেছেন তারা। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
কমেন্ট বক্সে আপনার মতামত জানান।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন